হেমন্তের প্রতিটা ভোর সেকালে কেমন নিপুণ করে হিম শিশির এঁকে যেত ফুলের নগ্ন দেহে, সে কি রূপ! কি অপার্থিব মোহময়তা! কুমারী মেয়ে ঝনঝন করে আঙুলের ডগায় শোষে নিত সে শিশিরজল। খিলখিল করে হেসে উঠে প্রকৃতির ভোর পূর্ণ করতো কেমন উচ্ছল হয়ে। প্রজাপতির ডানায় যে সৌন্দর্য নামতো তখন। সোনামাখা ঝরঝরে রোদ ছাপিয়ে স্নিগ্ধ বিকেল। পাড়ায় পাড়ায় নেচে উঠতো গাঁয়ের শিশুরা। গোল্লাছুট, ফুল টোকা, জামাই-বৌ খেলে সন্ধ্যে নামাতো আকাশের পাড়ায়