হজযাত্রীদের নিয়ে কঠোর হলো সৌদি আরব
Loading...

হজযাত্রীদের নিয়ে কঠোর হলো সৌদি আরব
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে হজে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে একবার জেনে নিন সৌদি আরবের নতুন সতর্কবার্তা।
২০২৫ সালের হজ মৌসুম সামনে রেখে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটির সরকার। অনুমতি ছাড়া কেউ হজ পালনের চেষ্টা করলেই গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা, করা হতে পারে বহিষ্কারও।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
Loading...
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় বলা হয়েছে, আগামী ১ জিলকদ থেকে ১৪ জিলহজ পর্যন্ত কেউ অনুমতি ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করলে তাকে গুণতে হবে ২০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৪.৫ লাখ টাকা।
এই আইন শুধু হজযাত্রীদের জন্য নয়, যারা ভিজিট ভিসায় সৌদি আরবে অবস্থান করছেন, তারাও যদি হজের অনুমতি না নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন, তবে তারাও একই শাস্তির আওতায় পড়বেন।
নিয়ম ভাঙার ক্ষেত্রে শাস্তি এখানেই শেষ নয়। যেসব ব্যক্তি হজের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও অন্যদের সহায়তা করবেন। যেমন: কাউকে স্পন্সর করা, তাদের থাকার জায়গার ব্যবস্থা করা, কিংবা যানবাহনে করে মক্কায় নিয়ে যাওয়া; তাদের জন্য শাস্তি আরও কঠিন।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
Loading...
এসব সহযোগিতার জন্য কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে এক লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হতে পারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২২ থেকে ৩০ লাখ টাকা!
যদি কোনো অবৈধ অভিবাসী হজে অংশ নিতে চান কিংবা চেষ্টা করেন, তাহলে তাকে সৌদি আরব থেকে বহিষ্কার করা হবে। শুধু তাই নয়, তিনি পরবর্তী ১০ বছর দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এছাড়া যারা অবৈধ হজযাত্রীদের পরিবহণে যানবাহন ব্যবহার করবেন, সেসব যানবাহন আদালতের নির্দেশে বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। তবে শর্ত একটাই যানবাহনটি যদি অভিযুক্ত ব্যক্তির মালিকানাধীন হয়। এই আইন বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ জিলকদ থেকে ১৪ জিলহজ পর্যন্ত।
ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে
Loading...
সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই কঠোর নিয়মনীতি ও আইন বাস্তবায়নের একমাত্র উদ্দেশ্য হজের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠু আয়োজন নিশ্চিত করা।
আরও খবর
Loading...
