নতুন করে দেশে ঢুকেছে ১ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা

Loading...

নতুন করে দেশে ঢুকেছে ১ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা

দেশে গত ১১ মাসে আরো ১ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর গতকাল মাসিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

ইউএনএইচসিআর জানায়, ২০২৪ সাল থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা এবং নির্যাতনের কারণে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন যার ফলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে নিরাপত্তা খুঁজছে।

কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

Loading...

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৫১, অর্থাৎ গত এক মাসে নতুন করে ২ হাজার ৯৮৯ জন রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯৮ জনে।

প্রতিবেদন বলছে, রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের কারণে ২০২৪ সাল থেকে নতুন শরণার্থীরা বাংলাদেশে নিরাপত্তার সন্ধান অব্যাহত রেখেছে।

Loading...

ফলস্বরূপ ২০২৪ সালের শেষের দিকে ক্যাম্পগুলোতে নতুন আগতদের সংখ্যা বাড়ার বিষয়টি চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাদের বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণ চলছে।

শরণার্থীদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ নারী এবং শিশু, ১২ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ নারী এবং ৪৮ শতাংশ পুরুষ।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

Loading...

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর শুরু করা গণহত্যা থেকে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে ৯০-এর দশক থেকে মিয়ানমার সরকারের নির্যাতন থেকে বাঁচতে তিন লাখের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে অবস্থান করছিল।

Loading...

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির জান্তা সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘর্ষ যতই তীব্র হচ্ছে, ততই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।

দুই পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে বিপর্যস্ত রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে ঢুকছে বাংলাদেশে সীমান্ত পেরিয়ে। এক হিসাবে দেখা যায়, প্রতি মাসে গড়ে ছয় হাজারের মতো অনুপ্রবেশ ঘটছে। বর্তমান পরিস্থিতি আরো উদ্বেগজনক।

Loading...

সংশ্লিষ্টরা জানান, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের সরকারি আট হাজার একর বনভূমিজুড়ে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। অব্যাহত অনুপ্রবেশের কারণে সেখানে রোহিঙ্গাদের স্থান সংকুলান করা যাচ্ছে না।

পরিবেশ ও প্রকৃতি বিনষ্টের পাশাপাশি এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হচ্ছে। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা বেড়ে যাওয়ায় এবং রোহিঙ্গা সহায়তা হ্রাস বা বন্ধ হয়ে গেলে দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্রের জেলা কক্সবাজার বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়বে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছে।

Loading...

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প তত্ত্বাবধানের সরকারি দায়িত্বে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের গত ১৩ জুলাইয়ের তথ্য বলছে, নোয়াখালীর ভাসানচরসহ কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পের ২ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯১টি পরিবারে মোট রোহিঙ্গা আছে ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬ জন। ক্যাম্পগুলোয় প্রতি বছর জন্ম নিচ্ছে কম করে হলেও ৩০ হাজার শিশু। সেই হিসাবে দৈনিক গড়ে ৮২টি শিশু ভূমিষ্ঠ হচ্ছে।

ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে

Loading...

আরো পড়ুন

Loading...

Loading