ইমিগ্রেশনে ভুলেও বলবেন না এই ৭ কথা, ঝুঁকিতে পড়তে পারে আপনার বিদেশ ভ্রমণ
Loading...

ইমিগ্রেশনে ভুলেও বলবেন না এই ৭ কথা, ঝুঁকিতে পড়তে পারে আপনার বিদেশ ভ্রমণ
আন্তর্জাতিক ভ্রমণে ইমিগ্রেশন পার হওয়াটা অনেকের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ। সঠিক কাগজপত্র থাকলেও একটি ভুল শব্দ আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে—প্রবেশ বিলম্বিত হতে পারে, এমনকি ভিসা বাতিলও হতে পারে।
ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা প্রশিক্ষিতভাবে যাত্রীদের কথার অসঙ্গতি ধরার চেষ্টা করেন। তাই বিদেশ ভ্রমণের সময় বিশেষ করে প্রথমবারের ভ্রমণকারীদের সতর্ক থাকা জরুরি। নিচে এমন সাতটি কথা উল্লেখ করা হলো যা ইমিগ্রেশনে কখনোই বলা উচিত নয়।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
Loading...
‘আমি জানি না কোথায় থাকব’
ভ্রমণের আগে গন্তব্যে থাকার জায়গার পরিকল্পনা করুন। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা যদি বুঝতে পারেন যে আপনি পরিকল্পনাহীনভাবে দেশে প্রবেশ করছেন, তাহলে তারা সন্দেহ করতে পারেন।
সবসময় হোটেল বুকিংয়ের কনফার্মেশন, হোটেলের ঠিকানা বা আপনি যে আত্মীয় বা বন্ধুর বাসায় থাকবেন তার ঠিকানা সঙ্গে রাখুন। বুকিংয়ের একটি প্রিন্ট কপি কর্মকর্তাকে দেখাতে পারলে এটি আপনার দায়িত্বশীলতা প্রমাণ করবে।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
Loading...
‘আমি কাজ করতে এসেছি’ (বিনা ওয়ার্ক ভিসায়)
সঠিক ভিসা ছাড়া কখনোই বলবেন না যে আপনি কাজ করতে যাচ্ছেন। অনেকে ব্যবসায়িক বৈঠক বা প্রশিক্ষণ সফরকে ‘কাজ’ হিসেবে উল্লেখ করেন, যা সন্দেহের জন্ম দিতে পারে।
আপনি যদি ব্যবসায়িক সফরে থাকেন, স্পষ্টভাবে বলুন যে এটি একটি মিটিং, সেমিনার বা সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ সফর এবং আপনি স্থানীয় চাকরিতে যাচ্ছেন না। অভিবাসন নিয়ম কঠোর, তাই ভিসার ধরন অনুযায়ী উত্তর দিন।
ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে
Loading...
‘আমি অনলাইনে আলাপ হওয়া এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি’
এই বক্তব্যটি নির্দোষ মনে হলেও কর্মকর্তাদের কাছে উদ্বেগের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যদি সম্পর্কের দৃঢ় প্রমাণ না থাকে। এর পরিবর্তে বলুন যে আপনি কোনো বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন এবং তাদের পূর্ণ ঠিকানা প্রস্তুত রাখুন।
অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্য দেবেন না, কারণ অস্পষ্ট উত্তর নতুন প্রশ্ন তৈরি করতে পারে এবং আপনার প্রবেশ বিলম্বিত হতে পারে।
‘আমার কাছে ফিরতি টিকিট নেই’
রিটার্ন টিকিট না থাকলে প্রায়ই সমস্যার মুখে পড়তে হয়। কর্মকর্তারা ধারণা করতে পারেন আপনি দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকতে চান। এমনকি স্থলপথে ফেরার পরিকল্পনা থাকলেও অন্তত একটি নমনীয় বা ফেরতযোগ্য টিকিট থাকা ভালো। এটি প্রমাণ করে আপনি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরতে ইচ্ছুক।
Loading...
‘আমি এখানে পৌঁছেই সব ঠিক করব’
স্বতঃস্ফূর্ত ভ্রমণ অনেক সময় রোমাঞ্চকর হলেও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা এটি পছন্দ করেন না। আপনার ভ্রমণপথ নিয়ে অস্পষ্ট উত্তর দিলে তারা মনে করতে পারেন আপনি প্রস্তুত নন।
কোন শহরে যাবেন, কোথায় থাকবেন, বা কোন স্থান দেখতে চান—এরকম একটি মৌলিক পরিকল্পনা তৈরি রাখুন। স্পষ্ট উত্তর কর্মকর্তাদের আস্থা বাড়ায়।
অপরাধ, মাদক বা বোমা নিয়ে রসিকতা
এ ধরনের বিষয়ে রসিকতা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সামান্য একটি মন্তব্যও আপনার ভ্রমণ ব্যাহত করতে পারে—আটক, জিজ্ঞাসাবাদ বা জরিমানার মুখে পড়তে পারেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এসব বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেন। সবসময় ভদ্র ও সংক্ষিপ্তভাবে উত্তর দিন; অসাবধান রসিকতা ভ্রমণ নষ্ট করে দিতে পারে।
Loading...
‘আমার কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই’
কর্মকর্তারা জানতে চান আপনি ভ্রমণের সময় নিজের খরচ বহন করতে পারবেন কি না। আর্থিক অক্ষমতার ইঙ্গিত দিলে সন্দেহ তৈরি হয়। তাই ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ক্রেডিট কার্ড বা পর্যাপ্ত নগদ অর্থ সঙ্গে রাখুন। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর দিন যে আপনি আর্থিকভাবে প্রস্তুত এবং দেশে কোনো বোঝা হবেন না।
ইমিগ্রেশনে ভুল কথা বললে সঙ্গে সঙ্গে ফেরত পাঠানো নাও হতে পারে, তবে এর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে। অনেক সময় যাত্রীকে দ্বিতীয় পর্যায়ের জিজ্ঞাসাবাদে পাঠানো হয়, যেখানে দীর্ঘ সময় ধরে নথি যাচাই, ব্যাগ পরীক্ষা বা অতিরিক্ত প্রশ্ন করা হয়। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগতে পারে এবং ভ্রমণের শুরুতেই বিপত্তি ঘটাতে পারে।
এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ভিসা বাতিল হয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তাই ইমিগ্রেশনে স্পষ্ট, সত্য এবং প্রস্তুত উত্তরই আপনার ভ্রমণ নিরাপদ রাখার মূল চাবিকাঠি।
আরো পড়ুন
Loading...






