উড়োজাহাজ সংকটে বিমান পাঁচ বছরে বহরে যুক্ত হয়নি নতুন একটিও

Loading...

ঢাকা-সিলেট রুটে বিমান ভাড়া কমল

উড়োজাহাজ সংকটে ভুগছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গত পাঁচ বছরে বহরে যুক্ত হয়নি নতুন একটিও। এতে বন্ধ হয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক রুট।

যাত্রী বিবেচনায় চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মধ্যপ্রাচ্যের গন্তব্যে ফ্লাইট বাড়াতে পারছে না বিমান। এ ছাড়া পণ্য পরিবহনের জন্য নেই কোনো কার্গো উড়োজাহাজ। পণ্য পরিবহনে একমাত্র ভরসা যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের বেলি কার্গো (নিচের দিকে পণ্য বহনের স্থান)।

কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

Loading...

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিমান বহরে ১৫টি উড়োজাহাজ প্রয়োজন। তা না হলে যাত্রীসেবা নিয়ে বিপাকে পড়বেন তারা।

কর্মকর্তারা জানান, চাহিদা অনুযায়ী দেশি যাত্রী মিললেও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে বিদেশি যাত্রীদের অকৃষ্ট করা যাচ্ছে না। ৮০ শতাংশ বিদেশি যাত্রী বহন করছে অন্যান্য এয়ারলাইন্স।

Loading...

ভাড়া (লিজ) নেওয়া দুটি বোয়িং উড়োজাহাজ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত সেপ্টেম্বরে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করেও মিলছে না ভাড়া নেওয়ার মতো উড়োজাহাজ।

বহরে নতুন কোনোটি যুক্ত না হলে স্বাভাবিক ফ্লাইট পরিচালনা ও আগামী হজের সময় পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আকাশপথে পরিবহন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নতুন উড়োজাহাজ ছাড়া বিমান স্বাভাবিক ফ্লাইট পরিচালনায় সক্ষম হবে না। বিশেষ করে হজ মৌসুমে সংকট তীব্র হবে।

Loading...

ওয়াহিদুল আলম বলেন, প্রতিবছর হজ মৌসুম শুরু হলেই ফ্লাইট সংকটে আন্তর্জাতিক কোনো না কোনো রুট বন্ধ করে বিমান। এতে নষ্ট হয় সংস্থার ভাবমূর্তি। এ ছাড়া পবিত্র হজের সময় শুরু হয় ঈদযাত্রা।

এ সময় দুর্ভোগের শিকার হন বিমানের বন্ধ রুটের যাত্রীরা। অবিলম্বে বহরে নতুন বিমান যুক্ত করা জরুরি। তা না হলে আন্তর্জাতিক রুটে প্রতিযোগিতায় আরও পিছিয়ে পড়বে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থার এক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, ২০৩৫ সালের মধ্যে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ আসনের কমপক্ষে ১৫টি নতুন উড়োজাহাজ প্রয়োজন।

বর্তমানে বহরে নিজস্ব উড়োজাহাজ আছে ১৯টি। লিজে নেওয়া দুটির চুক্তির মেয়াদ গত সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

Loading...

তিনি বলেন, কার্গো উড়োজাহাজ না থাকায় যাত্রীবাহী বিমানে (বেলি কার্গো) কিছু পণ্য পরিবহন করা হয়। তাই একচেটিয়া পণ্য পরিবহন করে লাভবান হচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো।

এ ব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা বোসরা ইসলাম জানান, ১৫টি দেশের ২৩টি গন্তব্যে যায় বিমানের বিভিন্ন ফ্লাইট। এর মধ্যে সৌদি আরবের ৪টি রুট হচ্ছে জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম ও মদিনা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৩টি রুট দুবাই, সারজা ও আবুধাবি।

ভারতের ৩টি রুট কলকাতা, চেন্নাই ও দিল্লি। যুক্তরাজ্যের ২টি রুট লন্ডন ও ম্যানচেস্টার। বাকি ১১টি গন্তব্য অন্যান্য দেশে।

Loading...

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সাফিকুর রহমান সমকালকে বলেন, চাহিদা অনুযায়ী তাদের উড়োজাহাজ নেই। তবে চাইলেই এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব না। সংস্থার যে কোনো কিছু ক্রয় করতে রাষ্ট্রের অনুমোদন প্রয়োজন। এ ছাড়া উড়োজাহাজ কেনার জন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার কমপক্ষে ৫-৬ বছর পর তা পাওয়া যায়।

ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে

Loading...

আরো পড়ুন

Loading...

Loading