যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী পাইলটদের গ্রিন কার্ড জটিলতা
Loading...

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী পাইলটদের গ্রিন কার্ড জটিলতা
মার্কিন স্বল্পমূল্যের এয়ারলাইনস সংস্থা অ্যালিজিয়েন্ট এয়ারে বিদেশী পাইলট নিয়োগ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। চিলি, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন পাইলটের গ্রিন কার্ড প্রক্রিয়া এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে। কারণ সংস্থাটিকে প্রয়োজনীয় শ্রম সনদ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মার্কিন পাইলট ইউনিয়ন। খবর রয়টার্স।
ইউনিয়ন টিমস্টারস লোকাল ২১১৮ বলছে, অ্যালিজিয়েন্ট বিদেশী পাইলটদের যে বেতন দিচ্ছে তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত মজুরি মানদণ্ডের নিচে।
তাই তারা শ্রম দপ্তরে প্রয়োজনীয় সনদ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সনদটি ছাড়া বিদেশী পাইলটদের গ্রিন কার্ড প্রক্রিয়া এগোতে পারে না।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
Loading...
ইউনিয়নের দাবি, স্থানীয় পাইলটদের বেতন বৃদ্ধি ও কাজের সময়সূচি ঠিক করলে সনদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হলে অভিজ্ঞ পাইলটরা কাজে টিকে থাকবেন। বিদেশী পাইলট আনার প্রয়োজনও কমবে।
অ্যালিজিয়েন্ট জানিয়েছে, কভিড মহামারী-পরবর্তী আকাশ ভ্রমণের ঊর্ধ্বগতির মাঝে কর্মী সংকটে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। কম বেতন হওয়ায় পাইলট টিকিয়ে রাখতে সমস্যা দেখা দেয়।
এজন্য স্থিতি ফেরাতে ভিসাভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে পাইলট নিয়োগ বাড়িয়েছে। বর্তমানে চিলি, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকে আসা প্রায় ৬২ জন পাইলট কাজ করছেন যা মোট পাইলটের প্রায় ৪ শতাংশ।
Loading...
ইউনিয়নের অভিযোগ, স্থায়ীভাবে নিয়োগের বিষয়ে বিদেশী পাইলটদের ভুল ধারণা দিয়েছে অ্যালিজিয়েন্ট। এখন আর দেশে পাইলটের ঘাটতি নেই। তাই গ্রিন কার্ড প্রক্রিয়া অপ্রয়োজনীয়।
টিমস্টারসের এয়ারলাইন বিভাগ পরিচালক গ্রেগরি উন্টারসেহার বলেন, ‘২০২৩ সালে পাইলট পেতে হিমশিম খাচ্ছিল অ্যালিজিয়েন্ট। তখন প্রতিষ্ঠানটি চিলি থেকে এইচ-১বি১ ভিসায় পাইলট এনেছিল।
তাদের বলা হয়েছিল, নাগরিকত্ব বা গ্রিন কার্ড দেয়া হবে। বছরে মাত্র ৫০ হাজার ডলারে কাজ করতে রাজি করাতে এমন প্রতিশ্রুতি দেয়। কম বেতনের কারণে অ্যালিজিয়েন্ট এখন পাইলট ধরে রাখতে পারছে না।’
Loading...
অ্যালিজিয়েন্ট বলছে, তাদের নিয়োগনীতি সব ধরনের শ্রম আইন ও ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বিধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে ইউনিয়ন প্রয়োজনীয় সনদ না দেয়ায় বিদেশী পাইলটদের গ্রিন কার্ড পেতে বিলম্ব হবে।
কিছু পাইলটকে দেশ ছাড়তেও নিষেধ করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে তারা ফিরে নাও আসতে পারেন।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
Loading...
পাইলটরা জানান, কম বেতন, সময়সূচির জটিলতা ও প্রায় ১০ বছর পুরনো শ্রম চুক্তির কারণে পদত্যাগ বাড়ছে। প্রথম বর্ষের ফার্স্ট অফিসাররা অনেক ক্ষেত্রে বড় এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের তুলনায় কম আয় করেন।
ইউনিয়ন ও অ্যালিজিয়েন্ট এখন নতুন শ্রম চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। এ আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল মিডিয়েশন অ্যান্ড কনসিলিয়েশন সার্ভিস (এফএমসিএস)।
Loading...
অ্যালিজিয়েন্ট পাঁচ বছরের নতুন চুক্তিতে ঘণ্টাপ্রতি বেতন ৭০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আরো জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুন থেকে যে রিটেনশন বোনাস জমা হচ্ছে, চুক্তি চূড়ান্ত হলে তা একবারে নগদে পরিশোধ করা হবে।
ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে
Loading...
আরো পড়ুন
Loading...






