সংযুক্ত আরব আমিরাত: মরুভূমির বুকে ঐক্যের বিজয়

Loading...

সংযুক্ত আরব আমিরাত: মরুভূমির বুকে ঐক্যের বিজয়

১৯৭১ সাল। বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল বছর, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার বছর। কাকতালীয়ভাবে ঠিক এই একই বছরে, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত মরুভূমির বুকে জন্ম নিচ্ছিল আরেকটি নতুন রাষ্ট্র, যার ভিত্তি কোনো যুদ্ধ নয়; বরং ছিল অটুট ‘ঐক্য’।

২ ডিসেম্বর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জাতীয় দিবস। দেশটি দিনটিকে উদ্‌যাপন করে ‘স্পিরিট অব দ্য ইউনিয়ন’ বা ঐক্যের চেতনার বিজয় হিসেবে।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

Loading...

ব্রিটিশরা যখন পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল বা তৎকালীন ‘ট্রুশিয়াল স্টেটস’ ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়, তখন এই অঞ্চলের ছোট ছোট শেখতন্ত্রগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল।

কিন্তু আবুধাবির শাসক শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ রাশিদ বিন সাইদ আল মাকতুম এক দূরদর্শী স্বপ্ন দেখলেন। তাঁরা বুঝলেন, আলাদা থাকলে টিকে থাকা কঠিন, কিন্তু এক হলে তাঁরা অজেয়।

১৯৭১ সালের এই দিনে দুবাইয়ের ‘ইউনিয়ন হাউস’-এ এক ঐতিহাসিক দলিলে স্বাক্ষর করেন ছয়টি আমিরাতের (আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, উম্ম আল-কুওয়াইন ও ফুজাইরাহ) শাসকেরা।

রাস আল খাইমাহ এই জোটে যোগ দেয় পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে। প্রথমবারের মতো পান্না, সাদা, কালো আর লালের সংমিশ্রণে তৈরি আমিরাতের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। শেখ জায়েদ হন দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং ‘ফাদার অব দ্য নেশন’।

Loading...

আজকের যে চকচকে দুবাই বা ধনী আবুধাবি আমরা দেখি, তা এই ঐক্যেরই ফসল। মাত্র পাঁচ দশকে তারা মৎস্যজীবী ও মুক্তা আহরণকারী জাতি থেকে বিশ্বের অন্যতম ধনী ও প্রভাবশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

২ ডিসেম্বরে পুরো আমিরাত সেজে ওঠে উৎসবের রঙে; আকাশজুড়ে ফোটে আতশবাজি আর রাস্তায় দেখা যায় বর্ণিল প্যারেড।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

Loading...

বাংলাদেশের বিজয়ের বছরই জন্ম নেওয়া এই দেশটির ইতিহাস আমাদের শেখায়—অস্ত্রের ঝনঝনানি ছাড়াও কেবল পারস্পরিক বিশ্বাস আর ঐক্যের জোরে একটি জাতি কীভাবে শূন্য থেকে শিখরে পৌঁছাতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন গোত্র আর মতভেদ ভুলে এক পতাকার নিচে দাঁড়ানোই ছিল তাদের সবচেয়ে বড় বিজয়।

ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে

Loading...

আরো পড়ুন

প্রথম আলো

Loading...

Loading