থার্ড টার্মিনালে ধীরগতি, চলমান বন্দর বিদেশীদের হাতে দেওয়ার তোড়জোড়
Loading...

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২১,১৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন থার্ড টার্মিনাল এখনও পূর্ণ কার্যক্রমে আসতে পারেনি।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জাপানের একটি কনসোর্টিয়ামকে অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দরকষাকষি করছে। প্রায় দুই বছর ধরে আলোচনার পরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া যায়নি।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
Loading...
অন্তর্বর্তী সরকার থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার বিমানকে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দিতে চায়। তবে জাপানি কনসোর্টিয়াম এখনও চুক্তি করতে আগ্রহী নয়, কারণ তারা মনে করছে নির্বাচনের পর রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে তাদের সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।
বেবিচক সূত্র জানায়, পরীক্ষামূলকভাবে গত মাসে থার্ড টার্মিনাল ব্যবহার করা হয়েছে এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও একটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। কিন্তু রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে চুক্তি এখনও আটকে রয়েছে।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
Loading...
চট্টগ্রাম বন্দরেও বিদেশীদের জন্য প্রস্তুতি
দেশীয় বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশী অপারেটরের হাতে দেওয়ার প্রক্রিয়া অন্তর্বর্তী সরকার জোরেশোরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এনসিটি সহ তিনটি টার্মিনালে বিদেশী অপারেটর নিয়োগ চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বন্দর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দর—উভয় ক্ষেত্রেই দেশের নিজস্ব দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। তবে সরকারের উচিত বিদেশী অপারেটর নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ, নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের দিকও বিবেচনা করা।
ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে
Loading...
থার্ড টার্মিনালের গুরুত্ব
২০২৩ সালের অক্টোবরে ‘সফট ওপেনিং’ করা থার্ড টার্মিনাল প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ডেট সার্ভিসিং খরচ কমাবে এবং বিমান ভাড়া ও যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে সহায়তা করবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যাত্রী হয়রানি, লাগেজ চুরি, কার্গো ব্যবস্থাপনায় ধীরগতি ইত্যাদি দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে থার্ড টার্মিনাল দ্রুত চালু হওয়া জরুরি।
চট্টগ্রাম বন্দরের বিতর্ক
চট্টগ্রাম বন্দরে মোট চারটি কনটেইনার টার্মিনাল চালু আছে—নিউমুরিং (এনসিটি), চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি), জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি) এবং রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল (আরএসজিটি)। এনসিটি বন্দরের সবচেয়ে বড় এবং আয়ের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশী অপারেটর নিয়োগ নিয়ে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা আপত্তি জানাচ্ছেন, কারণ বন্দরে ইতিমধ্যেই আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে এবং নতুন বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বন্দরের কার্যক্রম কেবল অপারেটরের দক্ষতার উপর নির্ভর করে না। জেটির সংখ্যা, কাস্টমস প্রক্রিয়া, পরিবহন সুবিধা—এসব বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিদেশী অপারেটর নিয়োগে দেশের স্বার্থ ও সম্পদ সুরক্ষিত রাখতে হবে।
ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে
Loading...
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা
- নিউমুরিং (এনসিটি) ও লালদিয়া টার্মিনাল বিদেশী অপারেটরের হাতে ২৫–৩০ বছরের জন্য দেয়া হবে।
- কেরানীগঞ্জের পানগাঁও টার্মিনালও বিদেশী পরিচালনার জন্য প্রস্তুত।
- পরবর্তী ধাপে বে-টার্মিনাল প্রকল্পের দুটি টার্মিনালও বিদেশীদের হাতে দেওয়া হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “বিমান ও সমুদ্র—উভয় বন্দর নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো বৈসাদৃশ্য নেই। বিদেশী অপারেটর নিয়োগ পদ্ধতিগত, তবে দেশের স্বার্থ নিশ্চিত করা অপরিহার্য।”
আরো পড়ুন
- হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীর দোষ স্বীকার
- গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়
- চীনের ক্রমবর্ধমান সমরসজ্জার সামনে ‘অরক্ষিত’ যুক্তরাষ্ট্র
- প্রবাসে মৃত্যু যেন ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’, মরদেহ নিয়ে যত ভোগান্তি
- মসজিদে নববীর মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমানের ইন্তেকাল
Loading...






