সিঙ্গাপুরে শ্রমিকের মৃত্যু, মালয়েশিয়ায় চাকরিচ্যুত ১৭২ বাংলাদেশি
Loading...

সিঙ্গাপুরে শ্রমিকের মৃত্যু, মালয়েশিয়ায় চাকরিচ্যুত ১৭২ বাংলাদেশি
বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের জীবন নানা ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তায় পূর্ণ। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় ঘটা দুটি পৃথক ঘটনা প্রবাসী কর্মীদের কঠিন বাস্তবতাকে আবারও সামনে এনেছে।
একদিকে যেমন দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, তেমনই শ্রম অসন্তোষের কারণে বহু কর্মী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়ছেন।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
Loading...
সিঙ্গাপুরে একটি নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করার সময় ছাদ থেকে পড়ে স্ট্রোক করে রিয়াজুল ইসলাম কদম (৫০) নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে।
নিহত রিয়াজুল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের নুরু মণ্ডলপাড়া গ্রামের প্রয়াত ইউসুফ আলী শেখের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরের তেভান স্টেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানির একটি প্রকল্পে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
Loading...
তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কর্মরত অবস্থায় দোতলা থেকে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন নিহতের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
অন্যদিকে, মালয়েশিয়ার নিলাই শহরের মেডিসেরাম কারখানায় কর্মরত ১৭২ জন বাংলাদেশি কর্মীকে চাকরিচ্যুত করার নোটিশ দেওয়ায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
Loading...
কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন বিষয়টি সমাধানে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসেছে।
হাইকমিশন জানায়, ২০২৩ সাল থেকেই ওই কারখানার সঙ্গে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলছিল। চলতি বছর কর্মীরা ছয়বার ধর্মঘটে যান, যার সর্বশেষটি শুরু হয় গত ২৩ অক্টোবর।
Loading...
এই ধর্মঘটের জেরেই কর্তৃপক্ষ ১৭২ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করে। এদের মধ্যে ১৬ জনকে ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধি দল কারখানা পরিদর্শন করে। তারা জানতে পারে, কর্মীদের অক্টোবর মাস পর্যন্ত বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়েছে।
Loading...
এছাড়া, একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সুপারিশ মেনে কোম্পানিটি ১৮৪ জন কর্মীকে অভিবাসন ব্যয় হিসেবে সাড়ে ২২ হাজার রিংগিত করে দিয়েছে। ভিসা সংক্রান্ত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ৮৬ জনের ভিসা অনুমোদিত এবং ৯৮ জনের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আলোচনায় শ্রমিক প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তারা আর ওই কারখানায় কাজ করতে আগ্রহী নন এবং অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পেতে হাইকমিশনের সহায়তা চেয়েছেন।
Loading...
মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী বিদেশি কর্মীদের চাকরি পরিবর্তন প্রক্রিয়াটি জটিল হওয়ায় হাইকমিশন সরাসরি কোনো সমাধান দিতে পারছে না। তারা কর্মীদের দাবি মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগকে জানিয়েছে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধর্মঘটী কর্মীরা কাজে ফিরলে এবং অভিবাসন দপ্তরের ছাড়পত্র পেলে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
Loading...
হাইকমিশন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ধর্মঘট দীর্ঘায়িত হলে কর্মীদের দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকি বাড়বে। হাইকমিশন কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় একটি সম্মানজনক সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
Loading...






