গরিবের বরাদ্দের চাল যায় ধনী-প্রবাসীর ঘরে
Loading...

গরিবের বরাদ্দের চাল যায় ধনী-প্রবাসীর ঘরে
আর্থিকভাবে সচ্ছল গৃহিণী সাকি বেগমের স্বামী-সন্তান প্রবাসে কর্মরত। তিনি বসবাস করছেন পাকা বাড়িতে। অথচ অসচ্ছল নারী হিসেবে সাকির নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ভিডব্লিউবি (অরক্ষিত/ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের জন্য সুবিধা) কর্মসূচির তালিকায়। সাকি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের কুড়িকাহনিয়া গ্রামের শামসুদ্দিনের স্ত্রী।
শুধু সাকিই নয়; একই তালিকায় নাম রয়েছে রীনা রানী বিশ্বাস নামে আরও একজন সচ্ছল নারীর। রীনাও একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রদীপ চন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রী। সাকি ও রীনার নাম কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় কর্মসূচির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
Loading...
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতি দুই বছরের জন্য এ কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। তালিকাভুক্ত কার্ডধারীদের বিনামূল্যে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।
এ কর্মসূচিতে স্বামী পরিত্যক্ত, স্বামী নিখোঁজ, প্রতিবন্ধী নারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও অতিদরিদ্র পরিবারের (ভিক্ষাবৃত্তি বা অন্যের সাহায্যে জীবনযাপনকারী) নারীদের অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। অথচ বাস্তব দৃশ্য উল্টো।
Loading...
২০২৫-২৬ অর্থবছরে পাইকুরাটি ইউনিয়নে কুড়িকাহনিয়া গ্রামের প্রবাসী শামসুদ্দিনের স্ত্রী সাকি ও আর্থিকভাবে সচ্ছল গরু ব্যবসায়ী প্রদীপ চন্দ্র বিশ্বাসের স্ত্রী রীনা তালিকাভুক্ত হন।
কীভাবে সাকি ও রীনা এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার আগেই সাকি ও রীনা গত জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের মোট ১২০ কেজি করে ২৪০ কেজি চাল উত্তোলন করেন।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
Loading...
স্থানীয়রা বলছেন, শুধু সাকি ও রীনাই নয়; ভালোভাবে খোঁজ নিলে আরও সচ্ছল পরিবারের নারীদের নাম এ তালিকায় পাওয়া যাবে।
সচ্ছল নারীদের নাম শনাক্ত করে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিলে প্রকৃত অসচ্ছল ও দরিদ্র নারীদের এ কর্মসূচির আওতায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলেও বিশ্বাস করেন স্থানীয়রা।
Loading...
কুড়িকাহনিয়া গ্রামের দরিদ্র নারী সাদিয়া খাতুন জানান, তারা গরিব মানুষ। কার্ডের আশায় অনেকবার আবেদন করেছেন কিন্তু নাম তালিকায় আসে না।
ধনীরা কার্ড পায়। তাই এখন আর আবেদনই করেন না। পাইকুরাটি ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, এ রকম হওয়ার তো কথা নয়। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরা তালিকায় নাম দেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।
ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে
Loading...
আরো পড়ুন
Loading...






