গাজা পুনর্গঠনে ১১২ বিলিয়ন ডলারের খসড়া পরিকল্পনা!
Loading...

গাজা পুনর্গঠনে ১১২ বিলিয়ন ডলারের খসড়া পরিকল্পনা!
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ১০ বছর মেয়াদি প্রায় ১১২ বিলিয়ন ডলারের একটি খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এই প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন করেছেন বলে জানিয়েছে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
Loading...
পরিকল্পনাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রজেক্ট সানরাইজ’, যার মাধ্যমে গাজাকে একটি আধুনিক ও ফিউচারিস্টিক নগরীতে রূপান্তর করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজাকে আধুনিক ও ভবিষ্যতমুখী উপকূলীয় নগরী হিসেবে গড়ে তোলা।
এতে বিলাসবহুল বিচফ্রন্ট হোটেল, দ্রুতগতির রেল যোগাযোগ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-চালিত বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাসহ অত্যাধুনিক অবকাঠামোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
৩২ পৃষ্ঠার একটি পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনায় এই পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে, যা ‘স্পর্শকাতর তবে গোপনীয় নয়’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
Loading...
মার্কিন হিসাব অনুযায়ী, আগামী এক দশকে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১১২ দশমিক এক বিলিয়ন ডলার। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার অনুদান ও ঋণ নিশ্চয়তার মাধ্যমে প্রকল্পের মূল জোগানদাতা বা ‘অ্যাঙ্কর’ হিসেবে কাজ করবে।
তবে পরিকল্পনায় এটি স্পষ্ট নয় যে পুনর্গঠন কাজ চলাকালে গাজার ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি কোথায় বসবাস করবেন কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানগুলো এই নির্মাণকাজে যুক্ত হবে। এছাড়া প্রকল্পটি হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং তাদের সব সুড়ঙ্গ ধ্বংস করার ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
Loading...
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, পরিকল্পনাটি চারটি ধাপে ২০ বছরে সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। কাজ শুরু হবে দক্ষিণ গাজার রাফাহ ও খান ইউনিস থেকে, এরপর মধ্যভাগের ক্যাম্প হয়ে শেষ হবে গাজা সিটিতে। রাফাহকে নতুন প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে পাঁচ লাখেরও বেশি বাসিন্দা থাকবেন।
অন্যদিকে গাজা সিটিকে ‘স্মার্ট সিটি’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পরিকল্পনার দশম বছর থেকে গাজার উপকূলের ৭০ শতাংশ বাজিয়করণ বা ‘মনিটাইজ’ করা হবে, যা থেকে ৫৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Loading...
গত ৪৫ দিনে হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জশ গ্রুয়েনবামসহ অন্যান্যদের সহায়তায় কুশনার ও উইটকফ এই প্রস্তাব তৈরি করেন। এ বিষয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের ব্যক্তি এবং ঠিকাদারদের মতামত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরিকল্পনাটি কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও তুরস্কের কর্মকর্তাদের কাছেও উপস্থাপন করা হয়েছে।
তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের একাংশ এই পরিকল্পনার বাস্তবতা নিয়ে গুরুতর সংশয় প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, হামাস নিরস্ত্র না হলে এবং যুদ্ধের পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি থাকলে দাতা দেশগুলো বড় আকারের অর্থায়নে আগ্রহী হবে না।
ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে
Loading...
আরো পড়ুন
Loading...






