বড়লেখা-জুড়ীতে আলোচনায় কাতার প্রবাসী সাজু, প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশা

Loading...

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনের রাজনীতি এখন বেশ প্রাণবন্ত। ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে আলোচিত নাম কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজু।

কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

Loading...

দলের দুঃসময়ে পাশে থাকা, প্রবাসে থেকেও বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক পরিসরে শক্তিশালী করা এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা—এই তিন গুণই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে তাকে সবচেয়ে পছন্দনীয় প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছে। মাঠপর্যায়ে তার জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এবং তাদের সুখ-দুঃখে উপস্থিত থাকা।

দীর্ঘ প্রবাসজীবনে সংগঠনের ভিত্তি মজবুত করার পর শরিফুল হক সাজু এখন মাঠে নেমেছেন ভোটারদের পাশে থাকতে। বড়লেখা ও জুড়ীর বিভিন্ন ইউনিয়ন, হাটবাজার ও গ্রামে তিনি নিয়মিত গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করছেন। এসব কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অংশগ্রহণও বাড়ছে, যা স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

Loading...

বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়া এগোচ্ছে দ্রুত। সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে রোববার (১৯ অক্টোবর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠকে বসছেন। সেই বৈঠকে অংশ নিতে ঢাকা অবস্থান করছেন শরিফুল হক সাজুসহ সিলেট বিভাগের অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কাতারে অবস্থানকালে শরিফুল হক সাজু বিএনপির সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক কাজেও সক্রিয় ছিলেন। প্রবাসী অধিকার রক্ষায় তিনি বহুবার সোচ্চার হন, যা তাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরে এনেছে। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক নেতা-কর্মী ইতোমধ্যে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন।

ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে

Loading...

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রবাসে অর্জিত অভিজ্ঞতা, আর্থিক সামর্থ্য ও স্থানীয় যোগাযোগ—এই তিন উপাদান সাজুকে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রেখেছে। তবে অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা রয়েছে, কারণ এই আসনে আরও কয়েকজন প্রার্থী সক্রিয়।

নিজ রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে সাজু বলেন, “ছাত্রজীবন থেকেই শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। ছাত্রদল ও যুবদলের নেতৃত্ব দিয়েছি, পরে কেন্দ্রীয় যুবদলে সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।”

Loading...

তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশে দুঃসময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে প্রচেষ্টা শুরু করেছিলাম, তা এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। আমি সবসময় পরিচ্ছন্ন রাজনীতির চর্চায় বিশ্বাসী।”

মনোনয়ন প্রসঙ্গে সাজু বলেন, “দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেয়, তবে আমি জনগণের আস্থা অর্জন করে বিপুল ভোটে জয় নিশ্চিত করতে পারব।”

বড়লেখা-জুড়ী এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট মন্ত্রী থাকার পরও বাস্তব উন্নয়ন হয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি পরিবার উন্নয়নের সুযোগ পাবে।”

Loading...

উল্লেখ্য, এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আরও রয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী নাসির উদ্দিন মিঠু এবং প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরীর কন্যা ব্যারিস্টার জহরত আদিব চৌধুরী।

আরো পড়ুন

Loading...

Loading